Posts Tagged ‘Death’


index‘বন্দে মাতরম’ অর্থাৎ মাকে তথা মাতৃভূমিকে বন্দনা করার এ সঞ্জীবনী মন্ত্রকে যাঁরা জীবনের পাথেয় হিসেবে নিয়ে নিজ জীবন উৎসর্গ করে গিয়েছেন তাঁদেরই একজন বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোদ্ধা, ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের এ পুরোধা ব্যক্তিত্ব স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের প্রথম নারী শহিদ। কিংবদন্তিতুল্য ব্রিটিশ প্রমোদকেন্দ্র ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের নেপথ্য সৈনিক এ অগ্নিকন্যা শুধু একটি নাম কিংবা স্মৃতি নয় বরং একটি ঐতিহাসিক স্মারক; স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল চেতনায় উদ্ভাসিত প্রতিমূর্তি।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রাম। বিপ্লবীদের ঘাঁটি এবং তাদের নানারূপ কীর্তির জন্য স্বনামেই বিখ্যাত। এ গ্রামেই জগদ্বন্দু ওয়াদ্দেদার ও প্রতিভা দেবীর ঘর আলো করে জন্ম নেয় তাদের আদরের “রাণী”।পরবর্তীতে আসকার দীঘির দক্ষিণ-পশিমে শান্ত, ছায়াসুনিবিড় দোতলা মাটির ঘরে পারিবারিক স্থানান্তরের দরুণ সেখানেই বেড়ে ওঠা। ছয় ভাই-বোনের সংসারে প্রীতিলতা ছিলেন তুলনামূলক শান্ত-শিষ্ট প্রকৃতির। প্রগতিশীল ধ্যান-ধারণার অনুসারী পিতা জগদ্বন্দু ওয়াদ্দেদার ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। প্রীতিলতা ভর্তি হন ডাঃ খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।

এরপর মেঘে মেঘে বেলা অনেক গড়ালো। প্রীতিলতাও শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দিলেন। ইতোমধ্যেই ভালো ছাত্রী হিসেবে পুরো স্কুলে তার সুনাম ছড়িয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমেও তার প্রশংসনীয় অংশগ্রহণ ফুটে উঠতে লাগলো। ঠিক এমন সময়েই তার পরিচয় ঘটে ইতিহাসে শিক্ষক ঊষাদির সাথে। ক্যালেন্ডারের ধূসর পাতা নির্দেশ করছে সময়টা তখন ১৯২৩। এ সময় টাইগার পাস মোড়ে সূর্য সেনের বিপ্লবী সংগঠনের সদস্যরা প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারী কর্মচারীদের বেতন বাবদ ১৭০০০ টাকা ছিনতাই করে এবং এ অভিযোগে বিপ্লবীদের সাথে রীতিমত যুদ্ধ করে পুলিশ সূর্য সেন ও অম্বীকা চক্রবর্ত্তীকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনা কিশোরী প্রীতিলতার মনে অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। তাছাড়া ১৯২৪ সালে ব্রিটিশ সরকার প্রণীত ‘বেঙ্গল অর্ডিন্যান্স’ আইনে অনেক বিপ্লবীকে বিনা বিচারে আটক করা শুরু হয়। প্রীতিলতা স্কুলের প্রিয় শিক্ষক ঊষাদির সাথে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে অনেক কিছুই জানতে পারেন। তাছাড়া ঊষাদির দেয়া ‘ঝাঁসির রাণী’, নিকটাত্মীয় পূর্নেন্দু দস্তিদারের কাছ থেকে পাওয়া ‘দেশের কথা’, ‘বাঘা যতীন’, ‘ক্ষুদিরাম’, ‘কানাইলাল’ প্রভৃতি “নিষিদ্ধ” বই তিনি পড়ে ফেলেন। এসমস্ত বই তার মনে এমনই প্রভাব ফেলে যে তিনি তার পূর্নেন্দুদার কাছে তাদের বিপ্লবী দলে যোগ দেয়ার ইচ্ছার কথা জানান। অথচ তিনি তখনও দশম শ্রেণির ছাত্রী। এভাবেই তার মধ্যে বিপ্লবী চেতনার প্রকাশ পেতে থাকে। তাছাড়া তার সহপাঠী আরেক খ্যাতিমান বিপ্লবী কল্পনা দত্ত তার স্মৃতিচারণায় বলেছেন,“স্কুলে শপথ-পাঠের এক পর্যায়ে বলতে হত I shall be loyal to God and King Emperor. কিন্তু প্রীতিলতা ঘৃণাভরে এ কথা বলা থেকে বিরত থাকতেন এবং বলতে চাইতেন I shall be loyal to God and my country”. এভাবেই প্রীতিলতা এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইতিহাস গড়ার দিকে।

ঢাকায় প্রীতিলতা ও দীপালি সংঘ : ১৯২৮ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষার রেজাল্ট বেরুলো। কয়েকটি লেটার মার্ক পেয়ে উত্তীর্ণ প্রীতিলতা পড়তে যান ঢাকার ইডেন কলেজে। সেখানে তিনি যুক্ত হন দীপালি সংঘ নামের একটি সংগঠনের সাথে যেটি প্রকাশ্যে লাঠিখেলা, কুস্তি, ডন-বৈঠক প্রভৃতি শেখাত কিন্তু আসলে তা ছিলো বিপ্লবীদের একটি গোপন সংগঠন। প্রীতিলতা সেখানে লাঠিখেলা, ছোরাখেলা প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন। পরে একটা সময় তিনি তার এক আত্মজীবনীতে বলেন তার এসব কাজের মূল লক্ষ্য ছিলো নিজেকে সূর্য সেনের একজন যোগ্য কমরেড হিসেবে গড়ে তোলা। এদিকে ১৯২৯ সালের দিকে নারী সম্মেলনে যোগ দিতে প্রীতিলতা ও তার সহযোদ্ধা কল্পনা দত্ত ঢাকা থেকে কোলকাতা যান। সেখানে তারা সূর্য সেনের বিপ্লবী দলে যোগ দেয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হয়ে তাদের ঢাকা ফিরে আসতে হয়।
এরই মধ্যেই প্রীতিলতা আই.এ. পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর ঠিক এই কয়েকমাসের মধ্যেই ঘটে যায় চট্টগ্রামের যুব বিদ্রোহ নামে খ্যাত সূর্য সেনের সেই বিখ্যাত বিপ্লবগাঁথা। প্রীতিলতা এ খবর পান তার পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে আসার পর।

বরাবরই মেধাবী ছাত্রী প্রীতিলতা আই.এ. পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং কোলকাতার বেথুন কলেজে বি.এ. পড়তে যান।চট্টগ্রামের যুব বিদ্রোহের পর অনেক বিপ্লবীই আত্মগোপন করেন। ঠিক তেমনি প্রীতিলতার দাদা পূর্নেন্দু দস্তিদারসহ অনেক বিপ্লবী তাদের আরেক সহযোদ্ধা মনোরঞ্জন রায়ের গুণু পিসির বাড়িতে আশ্রয় নেন। প্রকৃত অর্থে তা ছিলো সকল পলাতক বিপ্লবীদের সম্মিলন স্থল। প্রীতিলতা সেখানে তার দাদার সাথে দেখা করতে গিয়ে আরো অনেকের সাথেই পরিচিত হন। সেসব নারী বিপ্লবীরা নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতেন। পরবর্তীতে মাস্টারদার গোপন নির্দেশে মনোরঞ্জন রায় কোলকাতা থেকে গান পাউডার ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম চট্টগ্রামে সরবরাহ করেন। এটার সমূহ বিপদ নিয়ে মনোরঞ্জন রায় মাস্টারদার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ফলে মাস্টারদা নতুন করে চিন্তা-ভাবনা ক্করা শুরু করেন এবং এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এ ধরণের কাজে নারীদের ব্যবহার করা হবে কেননা তখনও গোয়েন্দা বিভাগ এসব ব্যাপারে নারীদের সন্দেহ করতো না। আর তখন থেকেই বিপ্লবী কাজে নারীদের ব্যবহার করা শুরু হয় আর তখন থেকেই প্রীতিলতা বিপ্লবী দলে সক্রিয় ভূমিকা রাখার সুযোগ পান। তিনি মাস্টারদার প্রেরিত বিভিন্ন ইশতেহার সাইক্লোস্টাইলে ছাপিয়ে কোলকাতার বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করা শুরু করেন। আর তার উল্লেখযোগ্য কাজের আরেকটি ছিল গোপনে কিংবা ছদ্মবেশে জেলখানায় বন্দী বিপ্লবীদের সাথে দেখা করা।

শিক্ষিকা প্রীতিলতা এবং বিপ্লবের প্রথম সোপান : কোলকাতা থেকে বি.এ. পাস করার পর চট্টগ্রামে এসে প্রীতিলতা দেখেন যে তার বাবার চাকরি নেই। তাই সংসারের হাল ধরবার জন্য প্রীতিলতা নন্দনকানন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে( বর্তমানে অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়) প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। তখনও তিনি পুষে রেখেছেন মাস্টারদার সাথে তার সাক্ষাতের আজন্ম লালিত স্বপ্ন। একদিন তিনি তার এ স্বপ্নের কথা বলেই ফেললেন আরেক বিপ্লবী কল্পনা দত্তকে। ১৯৩২ সালের মে মাসের গোড়ার দিকে তার এ দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সময়ের অবসান ঘটে। মাস্টারদার সাথে সাক্ষাতে তিনি প্রায় দুই ঘন্টার মত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ও পরিষ্কার ভাবেই তার Action করার ইচ্ছার কথা জানান এবং তার পর দিনই সাবিত্রী দেবীর বাড়িতে Triggering ও Targeting এর উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

ধলঘাট সংঘর্ষ : চট্টগ্রামের যুব বিদ্রোহের পর পুলিশের ব্যাপক ধর-পাকড় অভিযানের কারণে বিপ্লবীরা একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করেও সফল হতে পারছিলেন না। আর তাছাড়া দলের মূল দুই সদস্য সূর্য সেন ও নির্মল সেন তখন দলের সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত। এমনই সময় জুন মাসের ১২ তারিখ সূর্য সেন প্রীতিলতাকে ডাকেন তাদের গোপন আস্তানা সাবিত্রী দেবীর বাড়িতে। উল্লেখ্য এ বাড়ি থেকে মাত্র দশ মিনিটের দূরত্বে ছিলো আর্মি ক্যাম্প। হঠাৎ ১৩ তারিখ মিলিটারিরা তাদের অবস্থানের কথা জানতে পারে এবং ক্যাপ্টেন ক্যামেরনের নেতৃত্বে একটি দল যায় তাদের গ্রেফতার করতে। এ অভিযানে নির্মল সেন সহ বেশ কয়েকজন নেতৃস্থানীয় নেতা নিহত হন কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে প্রীতিলতা বেঁচে যান এবং সূর্য সেন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধারের মাধ্যমে প্রীতিলতার বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং বেঙ্গল পুলিশের সি আই ডি কর্তৃপক্ষ তাকে ধরার জন্য নোটিশ জারি করে। আর তিনি, মাস্টারদা, তারকেশ্বর দস্তিদারসহ বেশ কয়েকজন বিপ্লবী আত্মগোপন করেন কুন্তলা নামের এক বাড়িতে এবং ছক কাটতে থাকেন ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণের।

ইউরোপীয়ান ক্লাব এবং একটি ইতিহাস : “Dog and Indians are prohibited” -খচিত সাইনবোর্ড টাঙ্গানো ইউরোপীয়ান ক্লাবের সামনে। ইন্ডিয়ানদের কুকুরের সাথে তুলনার সূক্ষ্ম ইঙ্গিত তাতে। ব্রিটিশ বেনিয়াদের এ প্রমোদকেন্দ্রটির চারদিক পাহাড় দিয়ে বেষ্টিত। ক্লাবের চারদিকেই সতর্ক প্রহরা। শ্বেতাঙ্গ ছাড়া কেউই সেখানে প্রবেশ করতে পারতো না। এমনই একটি ক্লাবে বিপ্লবীরা যুব বিদ্রোহেই আক্রমণ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু গুড ফ্রাইডের কারণে তা আর আলোর মুখ দেখে নি। কিন্তু এবার তারা বদ্ধ পরিকর হামলা চালাবার ব্যাপারে। শৈলেশ্বর চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে একটি দল ১০ আগস্ট ক্লাব আক্রমণের চেষ্টা চালান কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাদের ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয়। অতঃপর মাস্টারদা এ কাজের দায়িত্ব নারী বিপ্লবীদের দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা শুরু করেন এবং শেষমেশ দায়িত্ব দেন কল্পনা দত্তকে। কিন্তু তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার কারণে এর ভার পরে প্রীতিলতার উপর। পরিকল্পনা ছিলো পূর্ব দিকে ওয়েবলি রিভলবার ও বোমা নিয়ে প্রীতিলতা,শান্তি চক্রবর্ত্তী,কালিকিঙ্কর দে-দক্ষিণ দিকে রিভলবার নিয়ে সুশীল দে,মহেন্দ্র চৌধুরী-উত্তর দিকে রাইফেল নিয়ে পান্না সেন ও প্রফুল্ল দাস আক্রমণ করবেন। ক্লাবের পাশেই পাঞ্জাবি কোয়ার্টার হওয়াতে প্রীতিলতার পরনে ছিলো মালকোঁচা দেয়া ধুতি ও পাঞ্জাবি আর মাথায় সাদা পাগড়িতে পাঞ্জাবি সাজ। ঠিক ১০ টা ৪৫ মিনিটে আক্রমণের নিশানা ঠিক করার পর হুইসেল বাজালেন দলনেতা প্রীতিলতা। সাথে সাথে ঘন ঘন বোমা আর গুলির আঘাতে কেঁপে উঠতে থাকে পুরো ক্লাব আর পুরো এলাকা পরিণত হয় নরকে। কিন্তু কয়েকজন ইংরেজ অফিসারের কাছে রিভলবার থাকায় তারা পাল্টা আক্রমণ চালালে প্রীতিলতার বাঁ পাশে আঘাত লাগে। কিন্তু তারপরেও তিনি অপারেশনের নিয়ম অনুসারে সবার পিছন পিছন বেরিয়ে আসতে থাকেন। কিন্তু আরেকজন ইংরেজ অফিসার তাকে তাড়া করলে প্রীতিলতা তার এক সহযোগী কালীকিঙ্কর দে-কে তার মুখে পটাসিয়াম সায়ানাইড ঢেলে দিতে বলেন।ইংরেজের হাতে জীবন দেয়ার চেয়ে আত্মহত্যাকেই শ্রেয় মনে করলেন এই মহীয়সী বিপ্লবী।

এবং অতঃপর : প্রীতিলতার মৃত্যুর অনেকটা সময়ই পেরিয়ে গেলো।তার মৃত্যুর পরপরই তার বাবা প্রায় অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যান। আর স্বাভাবিকভাবেই তার পরিবারে নেমে আসলো শোকের কালো ছায়া যা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বহন করেছেন তার বাবা-মা।

এ বীরকন্যার স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য প্রশাসনযন্ত্রের মাত্রাতিরিক্ত ঔদাসীন্য চরম লজ্জাজনক। প্রীতিলতা যেন এখন ভগ্ন স্মৃতিসৌধ দিয়ে ঘেরা নাম। প্রশাসন তার দায় সম্পন্ন করেছে গুটিকয়েক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মাধ্যমে। এমনকি এ বীরকন্যার ভিটেমাটির ধ্বংসাবশেষও আজ আর নেই।মহান ধলঘাট সংঘর্ষের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য যে ফলক নির্মাণ করা হয়েছিলো তা রীতিমত ধ্বংসের পথে।

ইউরোপীয়ান ক্লাবের সেই ঐতিহাসিক ঘরটি রেলওয়ের গুদামঘর। মাঝখানে প্রীতিলতা ফান্ডের আওতায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তার আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তার নামে যে কয়টি হল রয়েছে সেসবেও নেই এ মহান বিপ্লবীকে চেনার সুযোগ। সবচেয়ে লজ্জাজনক ব্যাপার এই যে এ অগ্নিকন্যার বীরত্বগাঁথা আজ পর্যন্ত কোন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত হয় নি, যার কারণে প্রজন্মের কাছে তার বিপ্লবগাঁথা যেন এক কল্পকাহিনী। এমনকি বেশ কয়েকমাস আগে তার স্মৃতিবিজড়িত অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বিদ্যালয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের মত ন্যক্কারজনক উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।

তবে গত বছর বেশ ঘটা করেই পালন করা হয় তার জন্মশতবার্ষিকী এবং এ বছরও তার আত্মাহুতি দিবস সাড়ম্বরেই পালন করা হয়। এক্ষেত্রে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, সমাজ সমীক্ষা সংঘ প্রভৃতি সংগঠন বেশ প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখা চলেছে। তবে এজন্য সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তার প্রতি সম্মান জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই হয়তো আমরা আমাদের এতো দিনের করা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবো।

এ অগ্নিকন্যার জন্য আমাদের চোখজুড়ে অশ্রু আর বুকভরা স্ফীত অহংকার।

read more from our partners ReflectiveTeens


My core scorched with the blaze of agony,
An era of betrayal,
An eon of catastrophes.

The stars’ve guided me to this massacre,
This sunset of being,
This nightfall of mirages.

Moon showered its wicked blessings,
Witnessing my draining fall.
Destiny is my stabber,
Fate is the conspirator,
And I? I am the wretched sufferer.

The two comrades have carried out His commands,
He adjourned me as the slaughtered animal.
And He? He is the vindictive Demon, the soul crusher.
Doomed and annihilated,
I now await the freedom of death.

I collapsed on my knees,
Hands spread-eagled,
Looming for the completion of misfortunes.
My interiors became icy-cold,
As I smother myself to an eternal existence.

Kalpit Tandon
Sir Padampat Singhania University, Udaipur
kalpittandon@gmail.com
kalpit-tandon.blogspot.com

in collaboration with Elements, SPSU Udaipur
TOPIC: Grey

Wrath Against Karma

Posted: August 7, 2012 by Zoyeb in Writes...
Tags: , , , , , , , , , ,

Let this karma dig up his own grave,
My deeds will not be Destiny’s slave.
This mutiny flows turbulently in my thick blood,
Strong deprivations will not be marred by wet mud.
A gun and a bullet won’t be my last resort,
Through barren broken roads I will trot.

Nails of longing cut me deep,
Drowning inside me,
I’m too traumatized to weep.
A solace is to be found in this succumbing emptiness
Searching within me,
I seek to overcome this hellish madness.

Let this karma rot in hell,
My actions will not be sunk in any shallow well.
This sanity flows vigorously in my veins,
My desires will not be choked by thundering rains.
A pedestal and a noose won’t be my last resort,
Through times thick and thin I’ll crawl.

I’ll crawl through Warfield of nails,
Towards my heart I’ll creep.
This wrath against Karma will now unfold,
When even death fades away,
My soul won’t be left cold.

Kalpit Tandon
Sir Padampat Singhania University, Udaipur
kalpittandon@gmail.com
http://kalpit-tandon.blogspot.in

 

 

 

A LOSS

Posted: July 21, 2012 by sarupbanskota in Writes...
Tags: , ,

The air grew fiery,

Light glimmered brightly;

All that happened

Made the nature roar.

Loss lingers everywhere

And one day sure to come;

But the pricks in the heart

Even God can’t vanish it.

Rest might the good soul;

Memories may amass;

Still Sadness is a heart’ neighbour,

Who unwillingly stops-by!

Ecstasy is what they observed,

But tears are now making their way,

Life’ naughty game never fails

To drive us frenzy.

Should it be this hard?

Wouldn’t a tonic do?

It heals wounds,

But never soothens the troubled mind.

Soul slumbers now

Corpse has enclosed its ears,

Opening others eyes

And making them wet!!!!

____

THIS IS A POEM WHICH I WROTE FOR THE DEATH OF MY FRIEND…

DESCRIPTION: This poem was written on the same day my dad’s  best friend passed away.

1: Nature is cruel only when something that it dislikes happens. so the death is totally unfair.

2: Loss prevails everywhere but the wounds in our heart, even god can’t erase it.

3: The soul rests now, the happy memories will remind us of the past, but now sadness has become our friend.

4: Happiness is what the friends observed but now tears drip down, life always has some new thing to drive us mad.

5: A tonic would heal a wound but never the worries caused.

6: The person is dead and the soul is sleeping peacefully with eyes closed, but making others eyes wet.

Lakshmi Priyanka Selvaraj